Notice :
Wellcome to our website...

চিলমারীতে অজ্ঞাত রোগে খামারের ৭শতাধিক ডিম পাড়া হাঁস মারা গেছে

মমিনুল ইসলাম বাবু ।। কুড়িগ্রামনিউজ২৪.কম 603 Time View
Update : Thursday, December 23, 2021

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ীহাট এলাকার আব্দুর রাজ্জাক হোসেন আনছারী নামের এক হাঁস খামারীর অজ্ঞাত রোগে ৭শতাধিক ডিম পাড়া হাঁস মারা গেছে। জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নে বালাবাড়ীহাট এলাকার খামারী রাজ্জাক হোসেন আনছারী তার পুকুরের উপর ঘর তৈরি করে উন্নত চায়না জিংডং জাতের ৭শত ৫০টি হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে একটি খামার গড়ে তোলেন। ৫মাস পূর্বে কুড়িগ্রাম সরকারী হাঁস উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ১দিন বয়সের হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন এ খামারে। বর্তমানে হাঁস গুলো ডিম দেওয়া শুরু করেছে। এর মধ্যেই অজ্ঞাত রোগে খামারের প্রায় সব হাঁসগুলো সাফার হয়ে গেছে। খামারী আব্দুর রাজ্জাক জানান, চিলমারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে হাঁস মুরগীর কলেরা ভ্যাকসিন নিয়ে এসে মাঠকর্মী মাহফুজারকে দিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর থেকে হাঁসগুলো ধীরে ধীরে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। ১৭ই ডিসেম্বর থেকে হাঁসগুলো মরে যাওয়া শুরু হয়। বর্তমানে খামারে মাত্র ৩০টি হাঁস রয়েছে সেগুলোও রোগাক্রান্ত। খামারী আরোও জানান, হাঁসগুলো আক্রান্ত হওয়া শুরু হলে প্রানী সম্পদ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা হাঁসের এ রোগ থেকে আরোগ্যের জন্য জিলিয়ান ও এন্টিফাঙ্গাল ও টক্সিন বিনডিং জাতীয় ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আগে থেকেই ঐ খামারের হাঁসের চিকিৎসাসহ যাবতীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এর আগেও হাঁসগুলোকে কলেরার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। কোন প্রকার সমস্যা হয়নি। বর্তমানেও ভ্যাকসিনের কারনে কোন সমস্যা হয়নি। খামারের হাঁস বাহিরে ছেড়ে দিয়ে খাবার খাওয়ালে ব্যকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। ব্যকটেরিয়া জনিত সমস্যার জন্য পূর্ব থেকে ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের সমস্যা হয় না।


এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। কুড়িগ্রামনিউজ২৪.কম- এ প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র ও অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি।