বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা খুনের বিচার চাই। শুধু আমাদের নেতৃবৃন্দ না, আমাদের কর্মী না, যত মানুষকে অন্যায়ভাবে খুন করা হয়েছে সবার বিচার চাই। খুন কখনো মাফ হয়না।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রংপুরবাসীর উদ্দেশ্যে আমীরে জামায়াত বলেন, বৃহত্তর রংপুরবাসী অনেক কারণেই আপনারা গর্বিত অথচ আপনারা বঞ্চিত। এই কুড়িগ্রাম বহু দিক থেকে বঞ্চিত এখানে একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। ঘোষণা হয়েছে তার কঙ্কাল আছে, গোস্তও নাই, চামড়াও নাই শুধু হাড্ডি সার। নিজস্ব কোন ক্যাম্পাস নেই ধকে ধুকে আস্তে আস্তে চলছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটি এই অঞ্চলের চেহারাই বদলে দিত। এটা শিক্ষা গবেষণার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারত। কুড়িগ্রাম সীমান্তিক জেলা এখানে মানুষ একটু অসুস্থ হলে ভালো চিকিৎসা পাবে সে রকম ব্যবস্থা নাই।
তিনি আরও বলেন, আজকে একই জেলায় ইউনিভার্সিটি, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু আছে অথচ আরেক জেলায় কিছুই নেই এটা কোন ধরনের ইনসাফ।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বৃষ্টি শুরু হলে ঢাকায় বসে আমাদের বুক দুরদুর করে। আমরা আতঙ্কে থাকি। কোন সময় খবর আসবে তিস্তা পাড়ের এই অবস্থা, দুর্দশা সব ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কেন এটা স্থায়ী সমাধান হলো না? স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এই দুঃখ ঘোচানো হলো না কেন? ভোটের সময় সে বাবা ডাকবে আর খেয়া পার হয়ে গেলে শালার মর্যাদা দিবেন না! এই ধরনের দুষ্ট রাজনীতি পরিহার করতে হবে। এখানে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। কার ইশারা ইঙ্গিতে এখনো এটা বন্ধ হয়ে আছে। কেন কাজ এখনো শুরু হলো না? বাংলাদেশের জনগণ তা অবশ্যই জানার অধিকার রাখে। ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে এটা হয় নাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম বলেন, সরকারী যেকোনো বাজেট বাস্তবায়নে অন্য কারো পকেটে যেন ৯০ ভাগ ঢুকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে তাঁরা নষ্টের মুখেমুখি করেছে,কুড়িগ্রামের ফেলানী আজ সারা বিশ্বের কাছে নন্দিত। সকল ক্ষেত্রে সকল শ্রেণীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
এসময় কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এছাড়াও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মো. নিজাম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।