শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সবশেষ খবর :
ডা. জোবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ডিএমসিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি রাজারহাটে গাঁয়ে হলুদ না হতেই ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু পাচঁ বছরের ছেলে ফাহিম বাঁচতে চায়, চায় সহযোগীতা রাজারহাটে স্বপ্ন সপের ডিলারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু উলিপুরে এনসিপির উলিপুর উপজেলা অফিস উদ্বোধন উলিপুরে তারুণ্যের ঐক্য সমাজকল্যাণ সোসাইটির কমিটি ঘোষণা উলিপুরে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে মাংস বিতরণ কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক সড়ক দুর্ঘনায় মৃত শিশুকে নিয়ে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস উলিপুরে চিকিৎসা অবহেলায় শিশুর মৃত্যু, উত্তাল হাসপাতাল চত্ত্বর উলিপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে সাবেক বি‌ডিআর (বি‌জি‌বি) সদস্যের মৃত্যু

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রে পানি শুকিয়ে চরাঞ্চল এখন মরুদ্যান

মমিনুল ইসলাম বাবু ।। কুড়িগ্রামনিউজ২৪.কম / ৭৮২ জন খবরটি পড়েছেন।।
লিপিবন্ধ করা হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১

ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের জয়নাল আবেদীন, সমশের আলী পেশায় নৌকার কারিগর, নৌকা মেরামত করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থান হারিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদকে ঘিরে জয়নাল আবেদীন, সমশের আলীর মত জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ৩ হাজার জেলে পরিবারে একই দূদর্শা চলছে।
সরেজমিন ব্রহ্মপুত্রের নয়ারহাট, অষ্টমীরচর,চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের বুকে পানি নেই, যেদিকে চোখ যায় শুধু বালু আর বালু। নদে যেটুকু পানি প্রবাহ আছে সেখানেও ছোট-বড় অসংখ্য চর জেগে ওঠায় নৌ যোগাযোগ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শাখা নদীর মাধ্যমে ঘুর পথে কোনো কোনো রুটে নৌকা চলাচল করলেও সব এলাকায় চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক নৌ- রুট ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

ব্রহ্মপুত্রের রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ মাঝিপাড়া এলাকার ভোলা দাসসহ অনেকে বলেন, জানিনা কবে নাগাদ আবার ব্রহ্মপুত্রের বুকে পানি থৈই-থৈই করবে। ব্রহ্মপুত্রের বুকজুড়ে এখন ধু-ধু বালু চর। পানি শুকিয়ে ব্রহ্মপুত্র যেন হয়েছে মরুদ্যান, যেন ধবল বালুর সোনালী কিরণ।
নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নাল পটল এলাকার কৃষক ইউসুফ, মাহফুজার বলেন, বোরো আবাদের মূখ্য সময়ে চিন্তিত চরাঞ্চলের কৃষকরা। শুধু তাই নয় চর এলাকার মানুষের চলাচল এখন হাঁটা পথে। এ জন্য তাদের দূর্ভোগেরও শেষ নেই। তারা আরো জানান, চলতি মৌসুমে সরকারী বা কোন বে-সরকারী সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বালুর চরে চাষ আবাদের জন্য সাহায্য সহযোগীতা করতো তাহলে চরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতো।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করে। কিন্তু এবার কম বৃষ্টিপাতের কারণে অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী মার্চ থেকে আবারো নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু করবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকরর্তা প্রণয় কুমার বিষান দাস জানান, কষ্টকর হলেও চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে পানি আছে সেখানে কৃষকরা বোরো চাষ করছে। তিনি আরো জানান, বালু চরেও বিভিন্ন ফসল ফলানো সম্ভব আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে চলতি মৌসুমেও যেন কোন চর কিংবা বালুর চর অনাবাধি না থাকে।


এই বিভাগের আরও খবর :
@Site Developed by- NB ALI, Ansari IT
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। কুড়িগ্রামনিউজ২৪.কম- এ প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র ও অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি।