কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আরোও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।এতে করে বানভাসিরা উঁচু স্থানে ও পাউবো বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলার হাতিয়া, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, বুড়াবুড়ি, দলদলিয়া, থেতরাই, গুনাইগাছ, বজরা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন বানভাসিরা। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দিয়েছে। এছাড়াও বীজতলা, পাট ক্ষেতসহ রবিশস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
হাতিয়ার ইউনিয়নের নীলকন্ঠ কলাতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমেনা বেগম (৫০) জানান, ঘর-বাড়িতে পানি উঠায় রান্না করার উপায় নাই। তাই বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, বন্যার পানিতে এ ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে পানি উঠায় মানুষজনের চলাচল খুবই কষ্ট হচ্ছে। বন্যা কবলিতদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রোববার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৬ সে.মি ও ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌল্লা জানান, এ পর্যন্ত ৫০ মেট্রিক টন চাল ও দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়াও শিশু খাবার ৫০ হাজার, গো-খাদ্যের জন্য দেড় লাখ টাকা পাওয়া গেছে যা দ্রুত বিতরণের কার্যক্রম চলছে।