কুড়িগ্রামে আলু চাষে ভাগ্য খুলেছে কৃষকের্। আলু চাষের উপযোগী কুড়িগ্রাম জেলার মাটি। তাই অধিক লাভের আশায় প্রতিটি মৌসুমেই এই জেলার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ করে থাকেন। বর্তমানে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা আলু চাষে ব্যাপক সাফল্য এনেছেন।
চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর নওয়াবস গ্রামের মামুন আহমেদ ধরলার পাড়ে চরাঞ্চলের নিজ জমিতে বিভিন্ন জাতের দেশি ও হাইব্রিড লাভজনক আলু চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আলু চাষে পরিশ্রম ও খরচ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন।
কৃষক ফজলার সরকার জানান, গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে ১ একর জমিতে আবাদ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকা নিয়ে চাষাবাদ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। এই ফসল মাসের মধ্যে হয়তো ঘরে তোলা যেতে পারে।
একদিকের জমিতে করছি আলু চাষ, পাশের জমিতে করতেছি পটল চাষ, তার গাছগুলো এখন পরিপক্ব হতে চলেছে। আর আলুর ভালো ফলন হলে ভাল লাভ করতে পারবো । উৎপাদিত আলু বিদেশে রফতানি বাড়ানো, আলুর বহুমুখী ব্যবহার ও নানামুখী খাবার তৈরিতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমরা আরও লাভবান হতে পারবো।
সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আলু চাষের জন্য কুড়িগ্রাম জেলার মাটি উপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন জাতের দেশীয় ও হাইব্রিড জাতের আলু চাষাবাদ হয়ে থাকে। তন্মধ্যে ডায়মন্ড, কাটিলাল, অ্যাসটেরিক, লাল পাকড়ি, ফাঁটা পাকড়ি ও গ্রানুলা জাতের আলু বেশি চাষ হয়ে থাকে। আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবস গ্রামের মামুন আহমেদ বলেন, আলু চাষাবাদে তেমন কোনো বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। তাই তারা এবার ১ একর জমিতে গ্রানুলা জাতের আলু চাষ করেছেন। আশা প্রতি বিঘা জমি থেকে ১২০ মণ আলু উৎপাদন হবে। আলু চাষ করে লাভের আশা করছেন বলেও জানান তিনি।
সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হতে পারে। এই জেলার উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।