কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাতভিটা গ্রামে চুলার আগুনে দুটি বাড়ি পুড়েছে। এতে একটি বাড়ির রান্নাঘর এবং গোয়ালঘর পুড়লেও অপর বাড়ির বসত ঘর সহ সবকিছু নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে বেঁচে থাকার শেষ সম্বল পুড়ে ছাই হওয়ায় খোলা আকাশের নীচে অবস্থান নিয়েছে দুটি পরিবার।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাতভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত নয়টার দিকে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম সাতভিটা গ্রামের কনছের আলীর রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। সে আগুন রান্নাঘরের দেয়াল ও খড়ের চালায় দ্রুত ছড়িয়ে যায়। পরে রান্নাঘরের পাশে থাকা গোয়ালঘরে আগুন ছড়িয়ে পরে। আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী মকবুল হোসেনের বাড়িতেও আগুন লাগে। আগুনের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা দ্রুত ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জনায়, অগ্নিকাণ্ডে ৩টি ভেড়া ও একটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়েছে। দুটি বসত ঘর, দুটি রান্না ঘর, একটি গোয়ালঘর ও বাড়ির সকল আসবাবপত্র অাগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়াও ধান সহ ধানের আঁটিও পুড়ে ছাই হয়েছে। হঠাৎ এমন বিপর্যয়ে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করা ছাড়া কোন উপায় দেখছেনা পরিবারগুলো।
উলিপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ সাইফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে যাতায়াতের ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছিলো আমাদের। আগুনে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার বলেন, খবর পেয়ে অলরেডি এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি আজ কিছু সহায়তা দেয়া হবে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে সম্ভব হলে আগামীতেও কিছু সহায়তা দেয়া হবে।