কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্যদের মাঝে ভোট চাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য সহ ১০জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ব্যাপারীর বাজার এলাকায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সদস্য প্রার্থী নুর আলম ও লাল মিয়ার সমর্থকদের মাঝে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বাঁধে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের কর্মী ও সমর্থকরা লাঠিসোঠা নিয়ে বিবাদে জরিয়ে পড়ে এতে উভয় পক্ষের ইউপি সদস্য নুর আলম, মমিনুল ইসলাম, সুরুজ্জামাল, বাদশা, জাহিদুল, সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়া, আমির হামজাসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে পুলিশ গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়ার সমর্থককর্মী রহিদুল ইসলামের বাড়িতে ইউপি সদস্য প্রার্থী নুর আলম ভোট চাইতে গেলে তার উপর হামলা করে। এবং কর্মীদের মাঠে কাজ করতে বাঁধা প্রদানসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেন লাল মিঞার এই কর্মী।
থানাহাট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য প্রার্থী নুর আলম বলেন, আমি রহিদুলের বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে আমার উপর হামলা ও হুমকি প্রদান করেন।
ইউপি সদস্য প্রার্থী নুর আলমের করা অভিযোগ অস্বিকার করেন সাবেক ইউপি সদস্য ও প্রার্থী লাল মিঞা বলেন, নির্বাচনকে বিমুখসহ জনগনের মাঝে ভিত সৃষ্টির জন্য নুর আলম ও তার কর্মীরা আমাদের কর্মী ও সমর্থকদের উত্তেজিত করতে নানান মিথ্যা কথাসহ গালিগালাজ করে বেড়াচ্ছেন।আমার কর্মী তার উপর কোন হামলা ও হুমকি দেন নি।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানাহাট ইউনিয়নের রিটানিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় আমি এখনো কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখন ঘটনা স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমান এলাকা শান্ত রয়েছে তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।