তিনি আরো বলেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তিনি(গোলাম হোসেন মন্টু) নৌকার এমপি চান না। আওয়ামী লীগের এমপি হলে তার অবাধ ও একচ্ছত্র লুটপাটে কিছুটা অসুবিধা হয়। তাই গতবারের মত নির্বাচনের সময় পেটের ব্যথার অজুহাতে রংপুর হাসপাতালে ভর্তির নাটক না করে এবার প্রকাশ্যেই এই আসনে নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ও তার সমর্থকরা বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং আক্কাস ডাক্তারের মিশন সফল করার জন্য দলের ভিতরে থেকে সুকৌশলে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ফলশ্রুতিতে দলীয় এমপি’র সুনাম নষ্ট এবং জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। গত ৯ম সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীর বিপক্ষে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। প্রতারণামূলকভাবে মিথ্যা কাগজ তৈরি করে আমাকে বিএনপি/ছাত্রদল সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ কখনোই আমি বা আমার পরিবার উলিপুরের বিএনপি নেতা মাঈদুল ইসলামের বাসায় যাতায়াত কিংবা যোগাযোগ রাখি নাই। ১৯৮৫ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঈদুল ইসলাম সাহেবের প্রার্থীর বিরুদ্ধে রব সরদারকে প্রার্থী করে বিপুল ভোটে বিজয়ী করা হয়েছিল। প্রতাপশালী মন্ত্রী মাঈদুল ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে ১৯৮৫ সালে উলিপুর মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। এই কারণে আমার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করে প্রায় ৩ বৎসর আমাকে হয়রানী করা হয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বিএনপি’র আস্থাভাজন ব্যক্তি। গত ১১/০২/২৩ তারিখে তার নিজ ইউনিয়ন ধরণীবাড়ীতে তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিএনপির সর্ববৃহৎ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই দিনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার ছেলে সালমান হাসানকে নদী বিচ্ছিন্ন সাহেবের আলগা ইউনিয়নে শান্তি-সমাবেশের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তারই ইন্ধনে বিএনপি আওয়ামী লীগের শান্তি-সমাবেশে আক্রমণ করে ৪ জনকে আহত করে। তারা উলিপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যাওয়া হয় নাই, কিংবা কোন বিবৃতিও দেয়া হয় নাই।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মামুন সরকার মিঠু, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এমডি ফয়জার রহমান, কোম্পানী সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রবিউস সামাদ, ধামশ্রেনী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, ধরনিবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক, দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাঈদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, আমার বিরুদ্ধে এমপি যেসব অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি(এমপি) শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। তার পরিবার বিএনপি, তারা কেউ আওয়ামীলীগ করেন নাই। অপেক্ষা করেন সত্য একদিন প্রকাশ হবেই।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, সংসদ সদস্য এম এ মতিন ১৯৭৯ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তার পরিবার রাজাকার পরিবার। তার ভাই আব্দুল করিম ছিলেন উলিপুর উপজেলা রাজাকার কমান্ডার। তারা মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনকারী। তিনি কোনো দিন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নাই।