কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাসমান তেল ডিপো ‘লোকসান দেখিয়ে অন্যত্র সরিয়ে
নেওয়ার চেষ্টা’র প্রতিবাদ ও ডিপো স্থায়ী করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলার পুটিমারী ঘাট এলাকায় চিলমারী
জ্বালানি রংপুর বিভাগ ট্র্যাংকলরী শ্রমিক এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন
করে।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা
রিয়াজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম খুশু, চিলমারী প্রেসক্লাব
সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু, উপজেলা আ,লীগ সহ-সভাপতি মোঃ জয়নুল আবেদীন
প্রমূখ। এসময় বক্তারা, ভাসমান তেল ডিপো স্থায়ীকরণ করাসহ অতি দ্রুত
জ্বালানি তেল সরবরাহ করা ও দুর্নীতিবাজ কোম্পানি কর্মকর্তাদের অপসারণ
দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনে
থাকা যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের দুটি
বার্জ নিয়ে চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান তেল ডিপো প্রতিষ্ঠিত হয়। সে
সময় থেকে এ ভাসমান তেল ডিপোর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের কৃষক, ক্ষুদ্রশিল্প
উদ্দ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা সহজেই ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি তেল পেত। বর্তমানে
আড়াই বছর ধরে ডিপো দুটি তেল শুন্য পড়ে আছে।
এ বিষয়ে মেঘনা পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চিলমারী ডিপো ইনচার্জ মোঃ মহসিন
আলী বলেন, আমি কিছুদিন হল এখানে যোগদান করেছি। তেলের চাহিদা উর্দ্ধতন
কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড’র চিলমারী ডিপোতে যোগাযোগ করা হলে ইনচার্জ
মোঃ শাহজালালকে পাওয়া যায়নি। পরে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে
সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।