সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
সবশেষ খবর :
কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা চরে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা উলিপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেফতার উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পরীক্ষার্থীর মৃত্যু পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নির্দিষ্ট ভাড়া থেকে ৫-১০ টাকা ছাড় উলিপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদায় ও নবীনবরণ উলিপুরে শুরু হলো ২৯ তম বইমেলা: সাহিত্য ও সংস্কৃতির মিলনমেলা উলিপুরে আদালত থেকে ফেরার পথে চাচাকে অপহরণের অভিযোগ ভাতিজার বিরুদ্ধে “বাপ্পারাজ অবশেষে খুঁজে পেলেন হেনাকে” পানির অভাবে ১৫ লক্ষ টন চাল কম উৎপাদন হচ্ছে তিস্তা এলাকায় – আমীর খসরু

কুড়িগ্রামে চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ঈদের আগেই বন্যার শঙ্কা

নয়ন দাস ।। কুড়িগ্রামনিউজ২৪.কম / ৪৮৬ জন খবরটি পড়েছেন।।
লিপিবন্ধ করা হয়েছে : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে চর ও নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। আসন্ন ঈদের আগে বন্যার শঙ্কা নিয়ে দিন পার করছেন চরাঞ্চলের মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ৮৪ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদীর পানি জেলার ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় সব কয়টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এরই মধ্যে বেশকিছু চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।রাস্তাঘাট তলিয়ে চরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছেন বাসিন্দারা।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের আরাজী পিপুলবাড়ি গ্রামের জয়নাল মিয়া বলেন, ‘তিনদিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে এলাকার চরগুলো ডুবে গেছে। পটোল, তিল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এখন বাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। গরু-ছাগল, বাচ্চাদের নিয়ে আবার দুর্ভোগ শুরু হলো।’
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোতাহের হোসেন বলেন, চরের রাস্তা তলিয়ে গেছে। এখন নৌকাই আমাদের ভরসা। যাদের নৌকা নেই তারা কলাগাছের ভেলা বানিয়ে চলাচল করবেন। প্রতিবছর এসময় আমাদের দুর্ভোগ বাড়ে।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নে অনেক আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। চরে শতাধিক বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দু একদিনের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। চর পার্বতীপুর, পোড়ার চরের মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে জেলার সব কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। বন্যার আশঙ্কাও নেই।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলার সবকটি উপজেলায় প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে বন্যার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।


এই বিভাগের আরও খবর :
@Site Developed by- NB ALI, Ansari IT
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। কুড়িগ্রামনিউজ২৪.কম- এ প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র ও অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি।