কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামীকে ঢাকায় গ্রেফতার করে চিলমারী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১৩ এবং র্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ০১নং পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেন।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটি চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মৌজাথানা জুম্মা পাড়াস্থ নানীর বাড়ীতে থেকে পড়ালেখা করতো। স্কুল আসা যাওয়ার সময় ধৃত আসামী মানিক মিয়া (২৫) তাকে নানারকম কুপ্রস্তাবসহ প্রায় উত্যাক্ত করে আসছিল। সুযোগ পেয়ে গত ১৯ মে ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় নানীর বসতবাড়ীর শয়ন ঘরের ভিতরে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশুটিকে একা পেয়ে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই এলাকার ইদ্রিস আলীর পুত্র মোঃ মানিক মিয়া (২৫)। পরবর্তীতে ভিকটিমের নানী বাদী হয়ে চিলমারী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৩, তারিখ-২০/০৫/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১)।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের দৃষ্টিগোচর হয়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তা নিয়ে ৩০ মে ২০২৫ তারিখ রাত ১০:২৫ টার সময় র্যাব-১৩, রংপুর, সিপিসি-২, নীলফামারী এবং র্যাব-৪, সিপিসি-২, নবীনগর, সাভার ক্যাম্প ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন পল্লী বিদ্যুৎ (কবরস্থান রোড) এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় একমাত্র পলাতক আসামী মোঃ মানিক মিয়া (২৫), পিতা- মোঃ ইদ্রীস আলী, সাং- মৌজাথানা জুম্মাপাড়া, উপজেলা-চিলমারী, জেলা-কুড়িগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে চিলমারী মডেল থানায় হস্তান্তর করলে অদ্য ১ জুন ২০২৫ইং তারিখ দুপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রহিম।